1 photo
Description

---------------------------------------------
মাশরুম কি?
------------------
মাশরুম ছত্রাক গোত্রিয় এক প্রকার সাধারন সবজি।পুস্টিবিজ্ঞানিদের মতে এটি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সবজি।কারন প্রতি ১০০গ্রাম শুকনা মাশরুমে(ওয়েস্টার) ২৫% থেকে ৩৫ % আমিষ, ৫৭% থেকে ৬০%ভিটামিন, মিনারেল ফাইবার,৪%থেকে৬%শর্করা,৪%থেকে৫%(অসমপৃক্ত) চর্বি পাওয়া যায়,যা পৃথিবীর আর কোন সবজিতে পাওয়া যায়না।এটি মানব জাতির জন্য আল্লাহতালার অসাধারন নেয়ামৎ।নিয়মিত ও সঠিক পরিমানে খাওয়া হলে অতি অল্প সময়ে নিশ্চিতভাবে উপকারিতা অনুভব করা যায়।
মাশরুম কেন? :
-------------------------------------------
FAO কতৃক ঘোষিত তথ্যানুযায়ী একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক নুন্যতম ২০০ গ্রাম শাক সবজি,ফলমুল খাওয়া দরকার।কিন্তু আমদের দেশের মানুষ গড়ে মাত্র ৫০ গ্রাম (আলুবাদে) সবজি খায়।(তথসুত্র:কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল,জাতীয় মাশরুম সেন্টার,সাভার,ঢাকা।)দিনের পর দিন এভাবে মানুষের শরীরে সবজি চাহিদা ও প্রাপ্তির আকাশ পাতাল ব্যবধানের কারনে জটিল পুস্টিহীনতা সৃস্টি হয়ে ইমুন সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায় বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।ফলে পরিনত বয়স হওয়ার অনেক আগেই বার্ধক্যজনিত সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। যেমন স্থায়ী দুর্বলতা, ত্বক ও চেহারার লাবন্যতাহ্রাস,চুলপরাচুলপাকা,স্মৃতিশক্তিহ্রাস,দৃষ্টিশক্তিহ্রাস, অযথা ক্লান্তিবোধ ইত্যাদি।যা ভবিষ্যতে অনেক জটিল রোগ সৃস্টিতে সহায়তা করে।কোন কোন ব্যক্তি চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি আমিষ খান যেমন মাছ,মাংস, দুধ, ডিম ইত্যাদি।কিন্তু তাতে সব্জির চাহিদা পুরন করা কোনভাবেই সম্ভব না।যদি কোন ব্যাক্তি দৈনিক ২০ গ্রাম শুকনা মাশরুম খায় তবে তার ২০০ গ্রাম সব্জি খাওয়ার চাহিদা পুরন হবে। কারন ২০০ গ্রাম কাচা মাশরুম শুকালে ২০ গ্রাম শুকনা মাশরুম পাওয়া যায়।জাতীয় মাশরুম সেন্টারের গবেষনা অনুযায়ি , একজন ব্যক্তির শরীরে দৈনিক যতটুকু ভিটামিন মিনারেল দরকার তা প্রায় সবটুকু মাত্র ২০ গ্রাম শুকনা মাশরুমে পাওয়া যায়(তথ্যসুত্র:কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল এর মাশরুম এর পুষ্টিমান চার্ট,জাতীয় মাশরুম সেন্টার,সাভার ঢাকা।)।
অকাল বার্ধক্য প্রতিরোধে ও রুপ চর্চায়:
----------------------------------------------
নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের সকল প্রকার পুস্টিহীনতা দূর হয়ে শরীর সজিব, শক্তিশালী ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত হয়।অল্পসময়ে হারানো স্বাস্থ্য,শক্তি, ত্বক ও চেহারার উজ্জলতা ফিরে পাওয়া যায়।(রুপচর্চয় অনেকেই বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন কিন্তু আশানুরূপ ফলাফল পান না।কারন অপুষ্টিজনিত দেহকোষ।আর কোষকে সুস্থ সবল করার জন্য পুষ্টিকর খাদ্যের বিকল্প নাই।মাশরুম খুব দ্রুত মানব দেহের প্রয়োজনিয় প্রায় সকল প্রকার পুষ্টি সরবারহ করে এবং সকল প্রকার ক্ষয়প্রাপ্ত দেহকোষ পুনর্গঠন করে তাই দেহ হয় পেশিবহুল শক্তিশালী ও ত্বক হয় লাবণ্যময়, কোন প্রকার প্রসাধনী ব্যবহার প্রয়োজন হয় না)
যৌন অক্ষমতায় মাশরুম :
--------------------------------------
মাশরুমে প্রচুর পরিমানে গ্লাইকোজেন থাকাতে এটি শক্তিবর্ধক হিসাবে কাজ করে।তাই যৌন অক্ষম ব্যাক্তিদের জন্য মাশরুম একটি মহৌষধ। নিয়মিত খেলে পুরুষের যৌনশক্তি চিরস্থায়ী হয়।কারন এটি শরীরের সকল প্রকার কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে পুরুষকে শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে, প্রয়োজনীয় সকল প্রকার হরমোন উৎপাদনে সহায়তা করে।যা কোন উত্তেজক ঔষধের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব না।
ডায়াবেটিস রোগে মাশরুম :
-----------------------------------------
মাশরুমে১৮% পর্যন্ত আশ আছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের সরাসরি ইনসুলিন চাহিদা কমতে কাজ করে তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিশ্চিতভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করে(এক সপ্তাহের মধ্যেই কার্যকরীতা অনুভব করা যায়)।এছাড়াও ডায়াবেটিস রোগীরা সাভাবিক অনেক খাবার খেতে পারেননা, ফলে তাদের শরীরে খুব তাড়াতাড়ি পুষ্টিহিনতা দেখা দেয় এবং রোগী দুর্বল হয়ে পরে। ফলে শরীরে অন্যান্য রোগের সৃস্টি হয়। নিয়মিত মাশরুম খেলে একদিকে যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ হয়, অন্যদিকে পুষ্টির চাহিদা পুরন হয়ে শরীরের সাভাবিক শক্তি বজায় থাকে।
হৃদরোগ,কোলেস্টেরল ও উচ্চরক্তচাপে:
-------------------------------------------------------------------------
মাশরুমের ঔষধি উপাদানগুলো(ইরিটাডেনিন, লোভাস্টাটিন, এন্টাডেনিন) দেহের অপ্রয়োজনিয় বর্জ্য যেমন কোলেস্টেরল, চর্বি ইত্যাদি অত্যান্ত সফলতার সাথে পরিস্কার করে।আমরা নিয়মিত যেসল খাদ্য গ্রহন করি তা থেকেই শরীরে পর্যাপ্ত চর্বি জমে যা রোগীদের জন্য অত্যান্ত ক্ষতিকর।নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহে কোন প্রকার চর্বি বা অন্য কোন টক্সিন জমতে পারে না, ফলে রোগীরা অনেক বেশি নিরাপদ থাকেন। এছাড়াও এ ধরনের অতিরিক্ত অসুস্থ বা জটিল রোগীরা ঔষধের পাশাপাশি নিয়মিত মাশরুম খেলে ঔষধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ফলে দ্রুত আরোগ্য লাভ করা যায়।
কোস্টকাঠিন্য:
----------------------
কোস্টকাঠিন্য নিরাময়ে মাশরুম অব্যর্থ ভুমিকা রাখে।
রক্তশুন্যতা:
------------------
মাশরুম খুব দ্রুত রক্তশুন্যতা পুরন করে।
অপুস্টিজনিত যেকোন সমস্যায় মাশরুম অসাধারন উপকার করে।
-------------
অন্যান্য যে সকল রোগ নিরাময়ে মাশরুম দ্রুত কাজ করে:
-------------------------------------------------------------------
হজম শক্তিকম,আমশয়,জন্ডিস,অশ্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রে মাশরুম খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে।
এছাড়াও ক্যান্সার, টিউমার, হেপাটাইটিস বি,ইত্যাদি জটিল রোগের ক্ষেত্রেও ঔষধের পাশাপাশি মাশরুম রোগ নিরাময়ে ভালো ভুমিকা রাখে।
বৃদ্ধদের আদর্শ খাবার
----------------------------------
বৃদ্ধরা বেশিরভাগ সময়েই শারীরিকভাবে দুর্বল হয় অথবা বিভিন্ন রোগে ভোগেন।এ অবস্থায় পুস্টিকর অনেক খাবার খেতে না পারায় অথবা হজম করতে না পারায় তারা খুব বেশি অপুষ্টিজনিত দুর্বলতায় ভোগেন।মাশরুম অত্যন্ত পুস্টিকর ও সহজ হজমসাধ্য খাবার বিধায় এটি যে কোন বৃদ্ধ ব্যক্তির আদর্শ খাবার।নিয়মিত মাশরুম খেলে বৃদ্ধদের সাভাবিক সুস্থতা বজায় থাকে এবং হারানো শক্তি ফিরে পান।
গর্ভবতী মায়েদের বারতি খাবার:
------------------------------------------------
গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মায়েদের অতিরিক্ত খাবার হিসাবে মাশরুম অতুলনিয়।
বারন্ত শিশুদের পুষ্টির উৎস:
--------------------------------------------------
মাশরুমে স্পিঙ্গলিপিড ও ভিটামিন ডি থাকায় শিশুদের দৈহিক ও বুদ্ধি বৃদ্ধিতে অসাধারন ফলাফল
দেয়।যেসকল শিশুরা সবজি একেবারেই খেতে চায় না তাদেরকে রুটির সাথে অথবা যেকোন হেলথ ড্রিংসের সাথে মাশরুম পাউডার খাওয়ানো হলে একদিকে যেমন অপুষ্টিজনিত ঝুকি মুক্ত হওয়া যায় অপরদিকে বুদ্ধি বিকাশের চমৎকার সু্যোগ পাওয়া যায়।
কার্যকারিতা প্রাপ্তি:
---------------------------------
১ মাসের কাছাকাছি সময়ের মধ্যেই খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।নিয়মিত খেতে থাকলে ২/৩ মাসের মধ্যে রোগ নিরাময়ে আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া যায় ইনশাআল্লাহ ।প্রথম সপ্তাহ থেকে প্রতি সপ্তাহে নিজের স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন উপলব্ধি করা যায়।(যে কোন ব্যক্তি চ্যালেঞ্জ হিসাবে পরিক্ষা করতে পারেন)।
কতদিন খাওয়া যাবে?
-------------------------------
মাশরুম ১০০%প্রাকৃতিক একটি সব্জি কারন মাশরুম চাষ করতে কোন প্রকার রাসায়নিক সার ও কিটনাষক ব্যবহার করা যায়না তাই এটি যত বেশিদিন খাওয়া যাবে ততই ভালো। এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
মাশরুম কোন নির্দিষ্ট রোগের ক্ষেত্রে খাওয়া হলেও এটি দেহের অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রে অবর্ননীয়ভাবে উপকার করে এবং দেহে পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবারহ করে দেহকে সতেজ করে।ফলে দেহে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি হয়, যা হাজার রোগ প্রতিরোধ করে।
শুকনা মাশরুম খাওয়ার নিয়মাবলী :
-----------------------------------------------------
# সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরি পদ্ধতি, আটা বা ময়দারর সাথে মিশিয়ে রুটি তৈরি করে খাওয়া।(একজনের খাবারের জন্য নেওয়া আটার সাথে ২০ গ্রাম শুকনা মাশরুম পাউডার মিশাতে হবে)
# এক গ্লাস পরিমান ঠান্ডা পানিতে মাশরুম পাউডার গুলে ৫/৬ মিনিট আগুনের তাপে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে, সরাসরি অথবা শরবৎ বানিয়ে খাওয়া যাবে। ডায়াবেটিস না থাকলে চিনি মধু ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে।
# দুধের সাথে গুলে৫/৬ মিনিট আগুনে ফুটিয়ে খাওয়া
যাবে।
# এছাড়াও স্যুপ, হরলিক্স অথবা এমন কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যাবে, যাতে মাশরুম পাউডার মিশিয়ে যেন অবশ্যই ৫/৬ মিনিট আগুনের তাপ দেয়া যায় এবং প্রতিটি ব্যক্তির জন্য ২০ গ্রাম মাশরুম পাউডার পাওয়া যায়।
দৈনিক ১০ গ্রাম করে দুইবার অথবা দৈনিক ২০ গ্রাম করে
একবার অবশ্যই খেতে হবে।( কম খাওয়া হলে তেমন উপকারিতা অনুভব করা যায়না)।
দাম ও খরচ:
-----------------
প্রতি ১ গ্রাম শুকনা মাশরুম এর দাম ২.৫ টাকা মাত্র।
১ব্যাক্তি ১ মাসে খাবে ২০গ্রাম* ৩০দিন= ৬০০গ্রাম।
১ মাসে খরচ ৬০০গ্রাম*২.৫টাকা =১৫০০টাকা মাত্র।
অর্ডার করার নিয়মাবলী :
-------------------------------------
বিকাশে ১০০টাকা এডভান্স করে অর্ডার করলে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসে পন্য পাঠানো হবে।পন্য
হাতে পেয়ে বাকি টাকা কুরিয়ার অফিসে জমা দিতে হবে।
যে কোন তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:
------------------------------------------------------------
ইউনিক অর্গানিক মাশরুম ফার্ম
০১৬৩৩৬০৪৭১৭
বি:দ্র:দৈনিক ২০ গ্রাম শুকনা মাশরুম খেয়ে যারা উপকার পেয়েছেন তারা অবশ্যই শেয়ার করুন। এছাড়াও জনসার্থে সবাইকে শেয়ার করার অনুরোধ করা যাচ্ছে।
ইউনিক অর্গানিক মাশরুম
Price
Check with seller
Category
Listing ID
#298
Viewed
2231x
Publish date
January 20, 2018
Comments